ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে মনােরম প্রাকৃতিক পরিবেশে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল কোনাবাড়ীর প্রাণকেন্দ্রে ১৯৯৫ খ্রি তৎকালীন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এম.এ মান্নান সাহেবের নেতৃত্বে ৩৩ শতাংশ জমির উপর কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কেয়া কসমেটিক্স লিঃ এর স্বত্বাধিকারী জনাব আবুল খালেক পাঠানের আর্থিক সহায়তায় কলেজটি দীর্ঘদিন পরিচালিত হয়। কলেজ গভর্ণিংবডির সাবেক সভাপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী বীর মুক্তিযােদ্ধা আলহাজ্ব এ্যাডঃ আ.ক.ম মােজাম্মেল হক, এমপি মহােদয়ের প্রচেষ্টায় কলেজে নতুন প্রানের সঞ্চার হয়। | আর্থিক অবকাঠামােগত উন্নয়ন ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। | তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে দল মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষ কলেজ উন্নয়নে এগিয়ে আসে এবং আর্থিক সহযােগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। ৯১ জন শিক্ষানুরাগী মহান ব্যাক্তি পঞ্চাশ হাজার টাকা করে এককালীণ অনুদান দিয়ে আজীবন দাতা সদস্য হন। মাননীয় মন্ত্রী মহােদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমােদনক্রমে অত্র কলেজের নামে নামমাত্র মূল্যে (১,০০১/-) ষাট শতাংশ জমি অত্র কলেজের নামে বরাদ্দ দেন। যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গাজীপুর জেলা প্রাশাসক মহােদয় ২৭ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে রেজিষ্ট্রি করে দেন। জমি বরাদ্দ পাওয়ার পরে কলেজের সুপরিশর সুন্দর মাঠটি এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে কলেজের একটি নিজস্ব রাস্তা নির্মান করা হয়। | তাছাড়া মাননীয় মন্ত্রী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে এক কোটি চৌত্রিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি দ্বিতল ভবন মির্ণাণ করে দেন এবং ২০১২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজটিতে স্নাতক (পাস) | শিক্ষাক্রমের বি.এস.এস এবং বি.বি.এস কোর্সের অধিভূক্তি সুযােগ্য পরিচালনা, সঠিক নিয়ম শৃংখলা শিক্ষকদের আন্তরিক ও আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি ক্লাস টেস্ট, মাসিক মূল্যায়নসহ নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণের কারনে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্বাতক (পাস) পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর ভাল ফলাফল করে আসছে। বর্তমানে কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে ২২০০ ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত আছে। সকলের সহযােগিতায় অত্র কলেজটি গাজীপুরের মধ্যে একটি অনন্য আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে ইনশাল্লাহ।